ভার্সিটি লাইফের শুরু থেকে অনেক বছর ধরে গ্রামে যাওয়া হয়নি। এর মধ্যে পড়াশোনা শেষ করে দুচারটি চাকরি পাল্টেছি , কয়েকমাস আগে বিয়েও করে ফেলেছি। ছোটবেলা থেকেই মফস্বলের মাটির সোঁদা গন্ধ আমার প্রিয়। একসময় স্কুলের ছুটি শেষ হয়ে গেলেও মায়ের কাছে আরো দুচারদিন থাকার বায়না ধরে কান্নাকাটি করতাম। শহুরে ঘিঞ্জি পরিবেশ , দূষিত আবহাওয়ায় একসময় দম বন্ধ হয়ে আসত। বড় হবার সঙ্গে সঙ্গে কেমন করে যেন বাতাসে সীসার গন্ধকে আপন করে নিতে শিখলাম। গ্রামে বাবার বসতভিটা বলে যে কিছু আছে তা ভুলেই যেতে বসেছিলাম। হঠাৎ ছোট চাচার চিঠি পেয়ে অতীতের সব স্মৃতি মনে পড়তে লাগল । আকবর চাচা আমার চেয়ে দু-তিন বছরের বড়। অনার্স কমপ্লিট করে সদরে পৈতৃক ব্যবসা দেখভাল করছেন। বড় চার ভাইয়ের পর ছোটচাচা অবশেষে বিয়ে করতে চলেছেন। পাত্রী পার্শ্ববর্তী গাঁয়ের , অনেকটা প্রেমের বিয়েই বলা চলে। তবে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হচ্ছে। এমনিতে গাঁয়ে যাবার কোন ইচ্ছে আমার ছিলনা , তবে আমাদের দুজনেরই লম্বা একটা ছুটি রয়েছে সামনে। ছুটিতে এদিক ওদিক যাবার প্ল্যান করছিলাম কিছুদিন ধরে। সাদিয়া যেহেতু আমাদের গ্রামের বাড়িতে কখনো যায়নি , ভাবলাম এই সুযোগে দুজনে ঘুরে আসব ছোটবেলার...